ভোটার আইডি কার্ডের বয়স সংশোধন: খরচ ও পদ্ধতি

ভোটার আইডি কার্ডে ভুল তথ্য থাকলে তা সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। বয়স সংশোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী, বিশেষ করে যখন বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ভোটার আইডি কার্ডের বয়স সংশোধনের খরচ:

জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি দিতে হয়। এই ফি ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। বয়স সংশোধনের জন্য প্রথমবার ২৩০ টাকা এবং দ্বিতীয়বার ৩৪৫ টাকা ফি প্রযোজ্য।

ভোটার আইডি কার্ডের বয়স সংশোধনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • আবেদন ফর্ম: নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট (https://www.ecs.gov.bd/) থেকে সংশোধন ফর্ম (ফর্ম-২) ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি:
  • বয়স সংশোধনের প্রমাণপত্র:
    • শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান হলে: এসএসসি/সমমান সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
    • শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান না হলে: জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির সত্যায়িত অনুলিপি।

ভোটার আইডি কার্ডের বয়স সংশোধনের জন্য কোথায় আবেদন করবেন?

আপনার স্থানীয় উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে বয়স সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে।

আবেদনের পদ্ধতি:

  1. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন ফর্ম পূরণ করে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিন।
  2. কর্মকর্তা আপনার আবেদন পরীক্ষা করে দেখবেন এবং প্রয়োজনে আপনার ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণ করতে পারেন।
  3. আবেদন গ্রহণযোগ্য হলে, আপনাকে একটি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র প্রদান করা হবে।
  4. প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে উল্লিখিত তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।

আরো জানুন: ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

  • বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রমাণপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • ভুল তথ্য প্রদান করলে আপনার আবেদন নাকচ হতে পারে এবং আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হতে পারে।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে। আরও বিস্তারিত জানতে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট (https://www.ecs.gov.bd/) ভিজিট করুন।

Leave a Comment